ফিকহ কী? মুসলমানদের জীবনে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
📅 প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫
✍ ই-মাদরাসা টিম
❝فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ❞
অর্থ: “তোমরা যদি না জানো, তবে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর।” – [সূরা নাহল, ১৬:৪৩]
📘 ফিকহ বলতে কী বোঝায়?
“ফিকহ” শব্দটি আরবি “فِقْهٌ” থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ হলো “গভীরভাবে বোঝা” বা “বিশদ জ্ঞান লাভ করা”। ইসলামী পরিভাষায় ফিকহ মানে হলো—কুরআন ও সহিহ হাদীসের আলোকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের জন্য বিধানসমূহ বিশ্লেষণ ও প্রয়োগযোগ্যভাবে জানা।
🧭 কেন ফিকহ শেখা জরুরি?
দৈনন্দিন জীবনে মুসলমান হিসেবে কীভাবে চলতে হবে—তা নির্ধারণ করে ফিকহ।
নামায, রোযা, হজ, যাকাত, বিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য, উত্তরাধিকার, বিচার—এসব ক্ষেত্রেই কুরআন-সুন্নাহর ব্যাখ্যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিধান আছে। এই সব কিছুই ফিকহের অন্তর্ভুক্ত।
⚖ ফিকহ ও শরিয়তের পার্থক্য কী?
শরিয়ত হচ্ছে আল্লাহর নির্ধারিত চূড়ান্ত বিধান (সূত্র: কুরআন ও সুন্নাহ)।
আর ফিকহ হলো—মানব সমাজে সেই বিধানের বাস্তবিক প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা।
উদাহরণস্বরূপ, নামায আদায় করা শরিয়ত, কিন্তু কোন অবস্থায় ওভাবে নামায ছুটে গেলে কী করবো—এটা ফিকহ।
🧠 ফিকহের গুরুত্ব কীভাবে অনুভব করব?
১. ইবাদতগুলো সঠিকভাবে পালন করা যায়
২. হালাল-হারাম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়
৩. সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়
৪. আলেমদের থেকে শিখে নিজ জীবন সঠিক পথে পরিচালিত করা যায়
📚 ফিকহে ইসলামী: মূলত চারটি মাযহাবের ব্যাখ্যা
ফিকহে ইসলামী ইতিহাসে চারটি প্রসিদ্ধ মাযহাব রয়েছে:
হানাফী
মালিকী
শাফেয়ী
হাম্বলী
এই মাযহাবগুলো মূলত কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক বিশ্লেষণ ও পদ্ধতিগত ব্যাখ্যার মাধ্যমেই গঠিত।
💡 উপসংহার
ফিকহ শিখা মানে নিজের জীবনকে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।
এটি শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি অনুশাসনের বাস্তব রূপ।