ক্যাটাগরি: কুরআন
লেখক: ই-মাদরাসা টিম
প্রকাশকাল: জুলাই ২০২৫
ভূমিকা
আল্লাহ তাআলা মানুষের হিদায়াতের জন্য কুরআন নাজিল করেছেন। এটি কেবল তিলাওয়াতের জন্য নয়, বরং বুঝে আমল করার জন্য পাঠানো হয়েছে। কুরআনের প্রকৃত বার্তা তখনই হৃদয়ে গেঁথে বসে, যখন আমরা তা বুঝে পড়ি ও বাস্তবে প্রয়োগ করি।
কুরআনের দাবি: বুঝে পড়ো
আল্লাহ বলেন,
“أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ”
“তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা করে না?” (সূরা নিসা: ৮২)
এই আয়াতে কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা শুধু মুখস্থ বা আবৃত্তির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এজন্যই সাহাবায়ে কেরাম কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন।
বুঝে পড়ার উপকারিতা
✅ আখলাক উন্নত হয়: কুরআনের শিক্ষা হৃদয়ে গেঁথে গেলে আচরণে তার প্রতিফলন দেখা যায়।
✅ আত্মিক প্রশান্তি আসে: জীবনের সমস্যা ও দুশ্চিন্তার মুহূর্তে কুরআনের আয়াত অন্তরে শান্তি এনে দেয়।
✅ দোয়া ও আমলের অর্থ বোঝা যায়: প্রতিদিনকার যিকির-দোয়া ও নামাজে ব্যবহৃত আয়াত বুঝে পড়লে ইবাদতের মান বাড়ে।
✅ হিদায়াতের পথ খুঁজে পাওয়া সহজ হয়: কুরআন হচ্ছে আলোকবর্তিকা — বুঝে পড়লে দুনিয়া ও আখিরাতের পথ স্পষ্ট হয়।
কিভাবে কুরআন বুঝে পড়া শুরু করবেন?
- সহজ অনুবাদ থেকে শুরু করুন: যেমন মাওলানা মুফতি তাকি উসমানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান প্রমুখের অনুবাদ।
- বিশ্বস্ত তাফসীর পড়ুন: যেমন “তাফসীর ইবনে কাসীর”, “তাফসীর মারেফুল কুরআন” ইত্যাদি।
- আরবি শেখার চেষ্টা করুন: কুরআনের ভাষা আরবি, তাই আরবি শেখার মাধ্যমে সরাসরি বুঝার সুযোগ তৈরি হয়।
- নিয়মিত তাদাব্বুর করুন: প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট করে অর্থসহ আয়াত পড়ুন ও চিন্তা করুন।
ই-মাদরাসা কীভাবে সহায়তা করতে পারে?
আমরা ‘ই-মাদরাসা’তে কুরআন ও আরবি ভাষা শিক্ষার এমন কোর্স চালু করেছি, যা আপনাকে কুরআন বুঝে পড়ার পথে সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ। বেসিক আরবি গ্রামার, শব্দার্থ ও বাক্য গঠন শেখার মাধ্যমে আপনি নিজেই অর্থ বোঝার যোগ্য হয়ে উঠবেন।
উপসংহার
কুরআন বুঝে পড়া প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব। এটি কেবল ইবাদতের নয়, বরং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি। আসুন, আমরা কুরআনকে শুধু তিলাওয়াতের বই না ভেবে হিদায়াতের কিতাব হিসেবে গ্রহণ করি।